ধোপাকান্দি ইউনিয়ন বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার অন্তর্গত গোপালপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন।[১]
এই উপজেলার ভৌগোলিক অবস্থান ২৪.৩৫২৫° উত্তর ৮৯.৯৫৫৪° পূর্ব। এর উত্তরে- নগদাশিমলা, পূর্বে- গোলাবাড়ী, দক্ষিণে- গোলাবাড়ী ও দেলদুয়ার উপজেলা, পশ্চিমে- টাঙ্গাইল সদর উপজেলা। [১]
ধোপাকান্দি ইউনিয়নের মোট আয়তন ৫৪০৮ একর। [২]
ইউনিয়ন এর আয়তন ১৯১.৪৮ বর্গকিলোমিটার, ৭৩.৯৩ বর্গমাইল, ৪৭৩১৫ একর। [৩]
ব্রিটিশ শাসনামলের আনুমানিক ১৯৪৩ সালে প্রথম ধোপাকান্দি, রামনগর গ্রাম নিয়ে ধোপাকান্দি ইউনিয়ন গঠিত হয়। ঐ সময়ে ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যানকে গ্রাম প্রেসিডেন্ট বলা হত। ১৯৫০ সালে পাকিস্তান শাসনামলে গ্রাম প্রেসিডেন্ট এর পদকে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদবী ঘোষণা করা হয়। ১৯৫৪ সালে প্রথম গ্রাম প্রেসিডেন্ট হন হাতেম আলী তালুকদার। তারপর পর্যায়ক্রমে গোলাম হোসেন সরকার, সাদত আলী গ্রাম প্রেসিডেন্ট এর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৭ সালে তৎকালীন পাকিস্তান মহকুমা জুরি বোর্ড এর সদস্য ডা: রেয়াজ উদ্দিন সরকার প্রথম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান মনোনীত হন এবং তিনিই মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৭১ এ বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর পরবর্তী সময়ে তৈয়ব আলী, আ: মতিন (ভারপ্রাপ্ত), মাজেদুল ইসলাম সরকার (২য় বার নির্বাচিত), তৈয়ব আলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৫ সালে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে তৎকালীন প্রশাসক ধোপাকান্দি ইউনিয়ন থেকে সাহাপুর গ্রাম কে পৃথক করে ধোপাকান্দি নামে আলাদা ইউনিয়ন গঠন করা হয়। বর্তমানে ১৯টি ছোট বড় গ্রাম মিলিয়েই ধোপাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ।
ধোপাকান্দি ইউনিয়নের নাম নিয়ে দুটি জনশ্রুতি রয়েছে, পুর্বে ধোপাকান্দি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামেই হিন্দুদের আধিপত্য ছিল। রাধারমন সিংহ ও আশু সিংহ ছিলেন মাঝিবাড়ী গ্রামের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম তারাই প্রথম ধোপাকান্দি ইউনিয়ন নামের প্রস্তাবকারী ছিলেন। অন্যটি হল সাজানপুর, পূর্ব পঞ্চাশ, চরেরভিটা সহ আরো কয়েকটি গ্রাম নিয়ে একটি বড় বিল থাকায় নাকি ধোপাকান্দি নামকরণ করা হয়। তবে ঐ সময়ে নৌকাই ছিল ধোপাকান্দি ইউনিয়নের একমাত্র বাহন। [১]
বাংলাদেশের ২০০১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ধোপাকান্দি ইউনিয়নের জনসংখ্যা ২৮৫৪৫ জন। এদের মধ্যে ১৪৭২৭ জন পুরুষ এবং ১৩৮১৮ জন মহিলা। ভোটার সংখ্যাঃ ১৭৮৬৪জন।,
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস